ভারতীয় অর্থনীতিতে কৃষির ভূমিকা
- জাতীয় আয়ে কৃষির অবদান :- ভারতবর্ষের জাতীয় আয়ে প্রাথমিক ক্ষেত্রের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । তবে মোট জাতীয় আয়ের কৃষির অবদান ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে । 2021-2022 অর্থবর্ষে ভারতের জাতীয় আয়ে কৃষির অবদান 18%।
- কর্মসংস্থানে কিসের অবদান :- ভারতের 60% জনগণ জীবিকার জন্য কৃষিক্ষেত্রে উপর নির্ভরশীল এবং দেশের শ্রম ও শক্তির 49% কৃষিক্ষেত্রে নিযুক্ত ।
- আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কৃষির অবদান :- বর্তমান ভারতে রপ্তানির মোট পরিমাণের 19.92%হল কৃষিজ পণ্য ।
ভারতের কৃষি ও সবুজ বিপ্লব
সবুজ বিপ্লব
ভারতবর্ষে 1958 সালে গমের উৎপাদন 120 লক্ষ টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে 170 লক্ষ টনে দাঁড়ায় ।আমেরিকান বিজ্ঞানী ড. উইলিয়াম গড এই ঘটনাকে 'সবুজ বিপ্লব' (Green Revolution) নামে অভিহিত করেন ।ষাটের দশকে ভারতীয় বিজ্ঞানরা মেক্সিকো থেকে আমদানি করা গমের বীজ প্রসেসিং এর মাধ্যমে উন্নত ধরনের অধিক ফলনশীল গম তৈরি করেন যার উৎপাদন ক্ষমতা ছিল প্রায় 60 থেকে 65 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর । এর ফলে ষাটের দশকের মাঝামাঝি ভারতে কৃষিক্ষেত্রে সবুজ বিপ্লব লক্ষ্য করা যায় । 1960-1961 সালে ভারতের সাতটি জেলা চালু হয় ইন্টেন্সিভ এগ্রিকালচার ডিস্ট্রিক্ট প্রোগ্রাম । উদ্দেশ্য ছিল চাষীদের ক্রেডিট লোন, বীজ, সার, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি প্রদান এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ইন্টেন্সি ফার্মিং এর জন্য পরীক্ষা এবং গঠন করা ।
সবুজ বিপ্লবের প্রভাব :
- কৃষিজ শস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি
- কৃষিক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি
- শিল্পক্ষেত্রের উপর কৃষিক্ষেত্রের সম্পূর্ণ নির্ভরশীলতা
- সবুজ বিপ্লবের প্রভাব যুক্ত অঞ্চলে মজুরিভিত্তিক শ্রমিকদের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে গোপিহীন কে শব্দের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিরোধ থেকে রক্ষা
- শ্রেণীগত বৈষম্য বৃদ্ধি
- আঞ্চলিক বৈষম্য বৃদ্ধি
দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লব:
- 2006 সালে 93 তম ইন্ডিয়ান সাইন্স কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী মনোহর সিংহ সবুজ বিপ্লবের কথা ঘোষণা করে ।
- প্রথম সবুজ বিপ্লবকালীন সময়ের শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে আঞ্চলিকতা ও ভারসাম্যহীনতা দেখা গিয়েছিল তা দূর করাই হলো দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লব ।
- দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লব শুষ্ক জমিতে চাষ এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের উপর গুরুত্ব প্রধান । 2020 সালের মধ্য 400 উৎপাদন লক্ষ্য মাত্র স্থির করা হয়েছিল ।
কৃষি এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা
- প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় কৃষির উপর সর্বোচ্চ ব্যয় 31% করা হয়েছিল ।
- তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সময় ইনটেনসিভ এগ্রিকালচার ডিসট্রিক্ট প্রোগ্রাম (IADP) এবং ইলডিংভ্যারাইটি প্রোগ্রাম (HYVP) চালু করা হয় ।
- প্রথম এবং পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা কৃষি ক্ষেত্রে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হয়েছিল ।
- দশম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ফসল উৎপাদনের জন্য কোন ইফতির লক্ষ্যমাত্রার উল্লেখ করা হয়নি ।
- নবম এবং দশম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় কৃষিক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে 2.4% এবং 2.3%।
- একাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তিকৃত উন্নয়নে কৃষির গুরুত্ব বজায় রেখে কৃষিক্ষেত্রে বৃদ্ধির প্রস্তাবিত হওয়ার রাখা হয়েছিল 4% এবং ব্যয় করা হয়েছিল 18.5%।এই পরিকল্পনায় কৃষি ক্ষেত্রে অর্জিত বৃদ্ধির হারছিল 3.6%।
- দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় কৃষিক্ষেত্রে বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা 4% ধার্য করা হয়েছে । খাদ্যশস্যার ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার 2% অন্যান্য সরকার ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার 5-6% প্রস্তাব করা হয়েছে ।
ভারতের কৃষি ও সবুজ বিপ্লব |
সবুজ বিপ্লব
ভারতবর্ষে 1958 সালে গমের উৎপাদন 120 লক্ষ টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে 170 লক্ষ টনে দাঁড়ায় ।আমেরিকান বিজ্ঞানী ড. উইলিয়াম গড এই ঘটনাকে 'সবুজ বিপ্লব' (Green Revolution) নামে অভিহিত করেন ।ষাটের দশকে ভারতীয় বিজ্ঞানরা মেক্সিকো থেকে আমদানি করা গমের বীজ প্রসেসিং এর মাধ্যমে উন্নত ধরনের অধিক ফলনশীল গম তৈরি করেন যার উৎপাদন ক্ষমতা ছিল প্রায় 60 থেকে 65 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর । এর ফলে ষাটের দশকের মাঝামাঝি ভারতে কৃষিক্ষেত্রে সবুজ বিপ্লব লক্ষ্য করা যায় ।
1960-1961 সালে ভারতের সাতটি জেলা চালু হয় ইন্টেন্সিভ এগ্রিকালচার ডিস্ট্রিক্ট প্রোগ্রাম । উদ্দেশ্য ছিল চাষীদের ক্রেডিট লোন, বীজ, সার, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি প্রদান এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ইন্টেন্সি ফার্মিং এর জন্য পরীক্ষা এবং গঠন করা ।
সবুজ বিপ্লবের প্রভাব :
- কৃষিজ শস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি
- কৃষিক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি
- শিল্পক্ষেত্রের উপর কৃষিক্ষেত্রের সম্পূর্ণ নির্ভরশীলতা
- সবুজ বিপ্লবের প্রভাব যুক্ত অঞ্চলে মজুরিভিত্তিক শ্রমিকদের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে গোপিহীন কে শব্দের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিরোধ থেকে রক্ষা
- শ্রেণীগত বৈষম্য বৃদ্ধি
- আঞ্চলিক বৈষম্য বৃদ্ধি
দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লব:
- 2006 সালে 93 তম ইন্ডিয়ান সাইন্স কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী মনোহর সিংহ সবুজ বিপ্লবের কথা ঘোষণা করে ।
- প্রথম সবুজ বিপ্লবকালীন সময়ের শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে আঞ্চলিকতা ও ভারসাম্যহীনতা দেখা গিয়েছিল তা দূর করাই হলো দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লব ।
- দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লব শুষ্ক জমিতে চাষ এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের উপর গুরুত্ব প্রধান । 2020 সালের মধ্য 400 উৎপাদন লক্ষ্য মাত্র স্থির করা হয়েছিল ।
কৃষি এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা
- প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় কৃষির উপর সর্বোচ্চ ব্যয় 31% করা হয়েছিল ।
- তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সময় ইনটেনসিভ এগ্রিকালচার ডিসট্রিক্ট প্রোগ্রাম (IADP) এবং ইলডিংভ্যারাইটি প্রোগ্রাম (HYVP) চালু করা হয় ।
- প্রথম এবং পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা কৃষি ক্ষেত্রে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হয়েছিল ।
- দশম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ফসল উৎপাদনের জন্য কোন ইফতির লক্ষ্যমাত্রার উল্লেখ করা হয়নি ।
- নবম এবং দশম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় কৃষিক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে 2.4% এবং 2.3%।
- একাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তিকৃত উন্নয়নে কৃষির গুরুত্ব বজায় রেখে কৃষিক্ষেত্রে বৃদ্ধির প্রস্তাবিত হওয়ার রাখা হয়েছিল 4% এবং ব্যয় করা হয়েছিল 18.5%।এই পরিকল্পনায় কৃষি ক্ষেত্রে অর্জিত বৃদ্ধির হারছিল 3.6%।
- দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় কৃষিক্ষেত্রে বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা 4% ধার্য করা হয়েছে । খাদ্যশস্যার ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার 2% অন্যান্য সরকার ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার 5-6% প্রস্তাব করা হয়েছে ।
Tags
GEOGRAPHY